সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এমন কিছু স্থাপত্য বা প্রাকৃতিক বিস্ময় আছে, যা মানুষের কল্পনাশক্তির বাইরে। এই বিশাল পৃথিবীতে প্রতি মুহূর্তে কত কিছুই না সৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু এমন কিছু সৃষ্টি আছে যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। এদেরকে আমরা বলি ‘আশ্চর্য’। আর এদের মধ্যে সবথেকে সেরা সাতটি সৃষ্টিকে বলা হয় পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, ঠিক কীসের ভিত্তিতে এই সাতটি কাঠামোকে বেছে নেওয়া হলো? এদের নির্মাণশৈলী, পেছনের ইতিহাস, নাকি স্থাপত্যের বিশালতা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়েই আপনি চলে এসেছেন এই প্রবন্ধে। আজকের এই বিস্তারিত আর্টিকেলে আমরা শুধু পুরনো তালিকা নয়, বরং বর্তমান বিশ্বের স্বীকৃত পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি (New Seven Wonders of the World) তা নিয়ে আলোচনা করব। কীভাবে এই তালিকা তৈরি হলো, আর কেনই বা এদেরকে বিশ্বের সেরা সপ্তম আশ্চর্যের সম্মান দেওয়া হলো—সবকিছুই জানাবো সহজ, সাবলীল বাংলা ভাষায়। এই যাত্রা কেবল তথ্যের নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসাধারণ মানবসৃষ্ট ঐতিহ্যের এক মুগ্ধকর আবিষ্কারের।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য কি? (What are the Seven Wonders of the World?)
‘পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য’ বলতে সাধারণত মানব ইতিহাসের এমন কিছু অসাধারণ স্থাপত্য বা নির্মাণকে বোঝানো হয়, যা তাদের সময়কালে নির্মাণশৈলী, আকার, বা প্রকৌশল বিদ্যার চরম উৎকর্ষতা প্রদর্শন করেছে। মূলত দুইটি তালিকা প্রচলিত আছে:
- প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য (The Seven Wonders of the Ancient World): এই তালিকাটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকে তৈরি হয়েছিল এবং এর সবগুলোই মানবসৃষ্ট কাঠামো। এর মধ্যে মিশর-এর পিরামিড ছাড়া বাকি সবগুলোই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
- নতুন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য (New Seven Wonders of the World): ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা (New7Wonders Foundation) কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বব্যাপী ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই তালিকাটি তৈরি করা হয়। এটিই বর্তমানে সবথেকে বেশি প্রচলিত ও আলোচিত। এই আর্টিকেলে আমরা এই নতুন সাতটি আশ্চর্য নিয়েই আলোচনা করব।
আশ্চর্যের নাম | স্থান | নির্মাণের সময়কাল |
চীনের মহাপ্রাচীর | চীন | খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দী থেকে |
পেত্রা | জর্ডান | খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী |
খ্রিস্ট দ্য রিডিমার | ব্রাজিল | ১৯২২-১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ |
মাচু পিচু | পেরু | ১৫শ শতাব্দী |
চিকেন ইৎজা | মেক্সিকো | ৬০০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ |
রোমান কলোসিয়াম | ইতালি | ৭২-৮০ খ্রিস্টাব্দ |
তাজ মহল | ভারত | ১৬৩২-১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ |
আশ্চর্য শব্দের অর্থ কী? (What is the meaning of the word ‘Wonder’?)
বাংলায় ‘আশ্চর্য’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো: বিস্ময়, অদ্ভুত, অবাক কাণ্ড বা অদ্ভুত ঘটনা।
অর্থাৎ, কোনো কিছু যা দেখলে বা শুনলে মানুষ হঠাৎ করে অবাক হয়, যার অসাধারণত্ব বা অপ্রত্যাশিততা মনকে মুগ্ধ করে, তাকেই আশ্চর্য বলা যায়। এই প্রসঙ্গে, ‘পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য’ বলতে বোঝানো হচ্ছে মানবসৃষ্ট এমন সাতটি কাঠামো, যা তাদের বিশালতা, জটিলতা এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে মানুষকে তীব্র বিস্ময়ে আবিষ্ট করে। এই কাজগুলো সাধারণত তাদের সময়কালের প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং মানুষের সীমাহীন সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য কয়টি? (How many Seven Wonders of the World are there?)
উপরে আলোচনা করা হলো, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের তালিকাটি আসলে একটি নয়, বরং দুটি:
- প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য: এখানেও মোট ৭টি স্থাপত্য ছিল।
- নতুন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য (বর্তমানে স্বীকৃত): এই তালিকাতেও মোট ৭টি স্থাপত্যকে বিশ্বের নতুন সাতটি আশ্চর্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, মিশর-এর গিজার গ্রেট পিরামিডকে এই নতুন তালিকার বাইরে একটি ‘সম্মানিত প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটিই একমাত্র প্রাচীন আশ্চর্য যা এখনও টিকে আছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন তালিকাটি ৭টি স্থাপত্য নিয়েই গঠিত।
চীনের মহাপ্রাচীর (Great Wall of China)
চিনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই বিশাল প্রাচীরটি মানবসৃষ্ট কাঠামোগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।
- বিশালতা ও দৈর্ঘ্য: এই মহাপ্রাচীরটির মোট দৈর্ঘ্য নিয়ে মতভেদ থাকলেও, এর সমস্ত শাখা এবং উপ-শাখা সহ এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১,১৯৬ কিলোমিটার।
- ইতিহাস: শত্রুদের আক্রমণ থেকে চীনা রাজ্য এবং সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার জন্য খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দী থেকে এর নির্মাণ শুরু হয় এবং মিং রাজবংশের (Ming Dynasty) সময় (১৩৬৮-১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) এটির নির্মাণকাজ ব্যাপক আকার ধারণ করে।
- বিশেষত্ব: মহাকাশ থেকেও আংশিকভাবে দৃশ্যমান এই প্রাচীরটিকে প্রায় ২,০০০ বছর ধরে চীনা মানুষের ধৈর্য, সহনশীলতা এবং দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
পেত্রা (Petra)
জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিম মরুভূমিতে অবস্থিত এই প্রাচীন শহরটি সম্পূর্ণরূপে পাথরের মধ্যে খোদাই করা।
- উপাধি: এটি “রোজ সিটি” বা গোলাপী শহর নামেও পরিচিত, কারণ এটি নির্মাণে ব্যবহৃত বেলেপাথরের রং।
- নির্মাণশৈলী: পেত্রা শহরটি ছিল প্রাচীন নাবাতিয়ান (Nabataean) রাজ্যের রাজধানী। তাদের জল ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং পাথরের স্থাপত্যশৈলী আজও আধুনিক প্রকৌশলীদের মুগ্ধ করে।
- গুরুত্ব: পেত্রা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথের সংযোগস্থল, যেখানে মসলা এবং সিল্কের ব্যবসা চলত। এর সবচেয়ে বিখ্যাত কাঠামো হলো আল-খাজনেহ (Al-Khazneh), যা ট্রেজারি বা কোষাগার নামে পরিচিত।
খ্রিস্ট দ্য রিডিমার (Christ the Redeemer)
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর কর্কোভাডো (Corcovado) পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত যীশু খ্রিষ্টের এই বিশাল মূর্তিটি।
- উচ্চতা: এই মূর্তিটি ৩০ মিটার উঁচু এবং এর ৮ মিটার উঁচু পাদদেশ বা বেদী রয়েছে। এর প্রসারিত হাতের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার।
- নির্মাণের কারণ: এটি ১৯৩১ সালে ব্রাজিলের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি খ্রিস্ট ধর্মের প্রতীক।
- বিশেষত্ব: আর ডেকো (Art Deco) শৈলীতে নির্মিত এই বিশাল মূর্তিটি শহর এবং এখানকার মানুষের উপর যেন আশীর্বাদ ছায়া ফেলে রেখেছে।
মাচু পিচু (Machu Picchu)
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালার চূড়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৪৩০ মিটার উপরে অবস্থিত ১৫শ শতকের ইনকা সভ্যতার এই শহরটি।
- অর্থ: মাচু পিচু শব্দের অর্থ হলো “প্রাচীন পর্বত”।
- আবিষ্কার: ১৬শ শতকে স্প্যানিশদের আগমনের পর এটি প্রায় ৪০০ বছর ধরে বিশ্বের চোখ থেকে লুকিয়ে ছিল। ১৯১১ সালে আমেরিকান ইতিহাসবিদ হিরাম বিংহাম (Hiram Bingham) এটি পুনরায় আবিষ্কার করেন।
- রহস্য: ইনকাদের এই শহরটি কী কারণে তৈরি হয়েছিল এবং কেনই বা তারা হঠাৎ এটি পরিত্যাগ করেছিল, তা আজও একটি রহস্য। এর পাথর স্থাপনের কৌশল ছিল এতটাই উন্নত যে এর দুটি পাথরকে আলাদা করার জন্য একটি ব্লেডও ঢোকানো সম্ভব হয় না।
আরও পড়ুন:এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর নাম ও তালিকা
চিকেন ইৎজা (Chichen Itza)
মেক্সিকোর ইউকাটান (Yucatan) উপদ্বীপে অবস্থিত মায়া সভ্যতার এই সুবিশাল শহর এবং পিরামিড।
- স্থাপনা: এর প্রধান স্থাপনা হলো এল কাস্তিলো (El Castillo) বা কুলকুলকান (Kukulcán) পিরামিড। এটি একটি বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার হিসেবেও কাজ করে।
- জ্যোতির্বিজ্ঞান: এই পিরামিডের চারটি দিকে ৯১টি করে ধাপ আছে, যা যোগ করলে ৩৬৪ হয়। এর উপরের প্ল্যাটফর্মকে ১ ধরলে মোট সংখ্যা হয় ৩৬৫, যা বছরে দিনের সংখ্যা।
- বিশেষ ঘটনা: প্রতি বছর বিষুবরেখার দিনে (Equinox), সূর্যের আলো পিরামিডের ধাপে এমনভাবে পড়ে যে কুলকুলকান (সর্প দেবতা)-এর বিশাল ছায়া নিচে নেমে আসার মতো দেখায়।

রোমান কলোসিয়াম (Colosseum)
ইতালির রোম শহরে অবস্থিত এই বিশাল ডিম্বাকৃতির অ্যাম্ফিথিয়েটার (Amphitheatre)।
- ইতিহাস: এটি ৭০-৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। সেই সময়ে একে “ফ্ল্যাভিয়ান অ্যাম্ফিথিয়েটার” (Flavian Amphitheatre) বলা হতো।
- ব্যবহার: এক সময়ে ৫০,০০০ থেকে ৮০,০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই কলোসিয়ামটি গ্ল্যাডিয়েটরদের যুদ্ধ (Gladiatorial contests), বন্য পশুর লড়াই, এবং জনসমাগমের জন্য ব্যবহৃত হতো।
- ধ্বংসের কারণ: ভূমিকম্প এবং পাথর চুরি বা লুণ্ঠনের ফলে এর একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। তবুও, এর কাঠামো প্রাচীন রোমান প্রকৌশলবিদ্যার এক অসাধারণ প্রতীক।
তাজ মহল (Taj Mahal)
ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরে অবস্থিত এই অসাধারণ শুভ্র মার্বেল পাথরের সমাধিসৌধ।
- ভালোবাসার প্রতীক: মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর প্রিয় স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতিতে এটি নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশ্বজুড়ে চিরন্তন ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
- সময়কাল: এর নির্মাণ কাজ ১৬৩২ সালে শুরু হয়ে ১৬৪৮ সালে শেষ হয়েছিল। এতে প্রায় ২০,০০০ শ্রমিক কাজ করেছিল।
- স্থাপত্যশৈলী: তাজ মহল হলো মুঘল স্থাপত্যের সেরা উদাহরণ, যেখানে ভারতীয়, পারস্য এবং ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায়। ভোরের আলোয়, পূর্ণিমা রাতে, বা মেঘলা দিনে এর রঙের পরিবর্তন হয়, যা এটিকে আরও রহস্যময় করে তোলে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ Section)
১. পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় কোন স্থাপত্যটি নতুন করে যুক্ত হয়েছে?
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত তালিকাটি হলো “নতুন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য” (New Seven Wonders of the World)। এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়া উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যগুলো হলো: চীনের মহাপ্রাচীর, পেত্রা, খ্রিস্ট দ্য রিডিমার, মাচু পিচু, চিকেন ইৎজা, রোমান কলোসিয়াম এবং ভারতের তাজ মহল।
২. পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য বাছাই করার মাপকাঠি কী ছিল?
নতুন সাতটি আশ্চর্য নির্বাচনের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি উন্মুক্ত ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়েছিল। এর মূল মাপকাঠিগুলো ছিল: স্থাপত্যের সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব, নির্মাণশৈলীর জটিলতা, এবং সময়ের সঙ্গে টিকে থাকার ক্ষমতা। স্থাপত্যগুলো অবশ্যই মানবসৃষ্ট হতে হবে এবং ২০০০ সালের পূর্বে নির্মিত বা আবিষ্কার হওয়া প্রয়োজন ছিল।
৩. প্রাচীন ও নতুন সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে মূল পার্থক্য কী?
প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য ছিল খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকে গ্রিকদের দ্বারা তৈরি একটি তালিকা, যার মধ্যে গিজার পিরামিড ছাড়া বাকি সব ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে, নতুন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য হলো ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকা, যা এখনও অক্ষত অবস্থায় আছে এবং বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত।
৪. পৃথিবীতে কি তাজ মহল ছাড়া আরও কোনো আশ্চর্য আছে?
হ্যাঁ, বর্তমানে স্বীকৃত পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি তার মধ্যে তাজ মহল একটি হলেও, এই তালিকায় আরও ছয়টি অসাধারণ স্থাপত্য আছে: চীনের মহাপ্রাচীর, পেত্রা, খ্রিস্ট দ্য রিডিমার, মাচু পিচু, চিকেন ইৎজা এবং রোমান কলোসিয়াম। এছাড়াও, অনেক দেশেই স্থানীয়ভাবে আরও অনেক স্থাপত্যকে “আশ্চর্য” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
লেখকের শেষ কথা (Conclusion)
আমরা এই নিবন্ধের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি এবং এদের পেছনে লুকিয়ে থাকা রোমাঞ্চকর ইতিহাস। চীনের মহাপ্রাচীরের বিশালতা থেকে শুরু করে তাজ মহলের চিরন্তন ভালোবাসা এবং মাচু পিচুর দুর্গম রহস্য—এই প্রতিটি কাঠামোই মানুষের সৃষ্টিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তির এক জ্বলন্ত প্রমাণ।
এই সপ্তম আশ্চর্যগুলো কেবল ইট-পাথরের স্তূপ নয়, বরং মানব সভ্যতার অবিস্মরণীয় যাত্রাপথের মাইলফলক। তারা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। এই স্থাপত্যগুলো রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য, যাতে ভবিষ্যতের প্রজন্মও এদের থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে।
আপনার জন্য প্রশ্ন: এই সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে কোনটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে? নিচে মন্তব্য করে আমাদের জানান, এবং সম্ভব হলে, জীবনে একবারের জন্য হলেও এই স্থানগুলো ঘুরে আসার পরিকল্পনা করুন। বিশ্বকে নতুন করে আবিষ্কার করার এই যাত্রা শুরু হোক আজ থেকেই!