সূর্যগ্রহণ কাকে বলে। চন্দ্রগ্রহণ কত প্রকার ও কি কি।বিস্তারিত তথ্য

মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর এবং মনোমুগ্ধকর ঘটনা হলো সূর্যগ্রহণ। প্রাচীনকাল থেকেই এই ঘটনা মানুষকে কৌতূহলী করে তুলেছে। যখন দিনের আলো হঠাত করে রাতের অন্ধকারে পরিণত হয়, তখন এক অদ্ভুত দৃশ্যের অবতারণা হয়। কিন্তু, সূর্যগ্রহণ কাকে বলে ও কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই।

এই আর্টিকেলে আমরা সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত সকল খুঁটিনাটি বিষয় সহজ ও সাবলীল বাংলা ভাষায় আলোচনা করবো। সূর্যগ্রহণ কেন হয়, এটি কত প্রকারের হতে পারে এবং প্রতিটি প্রকারের বৈশিষ্ট্য কী, সেই সাথে এর বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব ও কুসংস্কার সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সূর্যগ্রহণ কাকে বলে? (What is a Solar Eclipse?)

সহজ ভাষায়, সূর্যগ্রহণ হলো একটি মহাজাগতিক ঘটনা যেখানে চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য একই সরলরেখায় চলে আসে। পরিক্রমণকালে চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অবস্থান করে, তখন চাঁদের ছায়ার কারণে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু স্থান থেকে সূর্যকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে দেখা যায় না। এই ঘটনাটিকেই সূর্যগ্রহণ বলা হয়।

এই সময় চাঁদ সূর্যের আলোকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেয়, ফলে সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোতে দিনের বেলায়ও অন্ধকার নেমে আসে। ঘটনাটি শুধুমাত্র অমাবস্যা তিথিতেই ঘটতে পারে।

সূর্যগ্রহণ কাকে বলে Class 6 এর সংজ্ঞা

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সূর্যগ্রহণের সংজ্ঞাটি আরও সহজ করে বলা যেতে পারে। যখন চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে সূর্য ও পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে চলে আসে, তখন চাঁদের ছায়া পৃথিবীর ওপর পড়ে। এই কারণে আমরা পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখতে পাই না। এই ঘটনাকেই সূর্যগ্রহণ বলে।

সূর্যগ্রহণ কাকে বলে Class 8 এর সংজ্ঞা

অষ্টম শ্রেণির জন্য সংজ্ঞাটি আরেকটু বিস্তারিতভাবে দেওয়া যায়। পৃথিবী যেমন সূর্যের চারপাশে ঘোরে, তেমনি চাঁদও পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। এইভাবে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন চাঁদের ছায়া পৃথিবীর পৃষ্ঠে পড়ে এবং সেই ছায়া থেকে সূর্যকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য মনে হয়। এই মহাজাগতিক ঘটনাটিই হলো সূর্যগ্রহণ।

সূর্যগ্রহণ কেন ঘটে? (Why Does a Solar Eclipse Occur?)

সূর্যগ্রহণ ঘটার মূল কারণ হলো চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্যের জ্যামিতিক অবস্থান। আমরা জানি, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে, যা প্রায় ৩৬৫ দিন সময় নেয়। আবার, চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে প্রায় ২৭.৩ দিনে একবার ঘুরে আসে।

এই পরিক্রমণের এক পর্যায়ে যখন চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য ঠিক এক সরলরেখায় চলে আসে এবং চাঁদ মাঝখানে থাকে, তখনই সূর্যগ্রহণ হয়। চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে প্রায় ৫ ডিগ্রী কোণে আনত থাকে। এই কারণে প্রতিটি অমাবস্যাতেই সূর্যগ্রহণ হয় না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু অমাবস্যাতেই যখন তিনটি বস্তু একই সমতলে এবং সরলরেখায় আসে, তখনই গ্রহণ সম্ভব হয়।

সূর্যগ্রহণ কত প্রকার ও কি কি (Types of Solar Eclipses)

সূর্যগ্রহণ মূলত চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব এবং আপেক্ষিক আকারের ওপর নির্ভর করে এই প্রকারভেদগুলো নির্ধারিত হয়। নিচে প্রতিটি প্রকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  1. পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ (Total Solar Eclipse)
  2. আংশিক বা খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ (Partial Solar Eclipse)
  3. বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ (Annular Solar Eclipse)
  4. হাইব্রিড বা মিশ্র সূর্যগ্রহণ (Hybrid Solar Eclipse)
গ্রহণের প্রকারচাঁদের অবস্থানসূর্যের দৃশ্যমানতাবিশেষ বৈশিষ্ট্য
পূর্ণগ্রাসসূর্য ও পৃথিবীর মাঝে (কাছাকাছি)সম্পূর্ণ অদৃশ্যসূর্যের করোনা বা ছটামণ্ডল দেখা যায়
আংশিক/খণ্ডগ্রাসসূর্য ও পৃথিবীর মাঝে (আংশিক আড়াল)আংশিক ঢাকা পড়েসূর্যের একটি অংশ চাঁদের ছায়ায় ঢাকা থাকে
বলয়গ্রাসসূর্য ও পৃথিবীর মাঝে (দূরে)মাঝখানে ঢাকা, চারপাশে বলয়‘রিং অফ ফায়ার’ বা আগুনের বলয় তৈরি হয়
হাইব্রিডপরিবর্তনশীলপূর্ণগ্রাস থেকে বলয়গ্রাসে পরিবর্তিত হয়অত্যন্ত বিরল একটি ঘটন

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?

যখন চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ফেলে, তখন তাকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এটি তখনই সম্ভব হয় যখন পৃথিবী থেকে চাঁদের আপোক্ষিক আকার সূর্যের আপেক্ষিক আকারের সমান বা তার চেয়ে সামান্য বড় হয়। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে দিনের বেলায়ও তারা দেখা যেতে পারে। এই সময় সূর্যের বাইরের দিকের বায়ুমণ্ডল, যা করোনা নামে পরিচিত, সেটি উজ্জ্বলভাবে দৃশ্যমান হয়। এটি একটি অত্যন্ত বিরল এবং espectacular দৃশ্য।

আংশিক বা খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?

যখন চাঁদ সূর্যের একটি অংশকে ঢেকে রাখে, তখন তাকে আংশিক বা খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে। এই ক্ষেত্রে চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবী পুরোপুরি এক সরলরেখায় থাকে না। ফলে, চাঁদের ছায়ার কেবল বাইরের অংশটি (উপচ্ছায়া) পৃথিবীর ওপর পড়ে। পূর্ণগ্রাস বা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ যেখান থেকে দেখা যায়, তার আশেপাশের বিশাল এলাকা জুড়ে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।

বলয় সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?

বলয় সূর্যগ্রহণ কাকে বলে – এটি একটি চমৎকার প্রশ্ন। যখন চাঁদ পৃথিবী থেকে তার কক্ষপথের দূরবর্তী অবস্থানে থাকে, তখন এর আপেক্ষিক আকার সূর্যের চেয়ে কিছুটা ছোট দেখায়। এই অবস্থায় চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে আসে, তখন এটি সূর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে পারে না। এর ফলে, চাঁদের চারপাশে সূর্যের একটি উজ্জ্বল বলয় বা আংটির মতো অংশ দেখা যায়। এই ঘটনাকেই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বা ‘রিং অফ ফায়ার’ বলা হয়।

হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?

হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ কাকে বলে – এটি সবচেয়ে বিরল প্রকারের সূর্যগ্রহণ। এই গ্রহণে পৃথিবীর কিছু অংশ থেকে পূর্ণগ্রাস এবং অন্য কিছু অংশ থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠের বক্রতার কারণে এমনটা ঘটে। গ্রহণ যখন শুরু হয়, তখন এটি বলয়গ্রাস হিসেবে দেখা যেতে পারে, পরে এটি পূর্ণগ্রাসে রূপান্তরিত হয় এবং শেষ হয় আবার বলয়গ্রাস হিসেবে।

সূর্যগ্রহণ কতক্ষণ স্থায়ী হয়?

সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন – গ্রহণের ধরন এবং পর্যবেক্ষকের অবস্থান। একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে, আংশিক গ্রহণ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলতে পারে।

সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের নিয়ম (Safe Viewing Practices)

সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি চোখের রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে, এমনকি অন্ধত্বের কারণও হতে পারে। তাই, সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক:

  • সোলার ফিল্টার গ্লাস: বিশেষভাবে তৈরি সোলার ফিল্টার বা এক্লিপ্স গ্লাস ব্যবহার করুন।
  • ওয়েল্ডিং গ্লাস: ১৪ বা তার বেশি শেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • পিনহোল প্রজেক্টর: একটি কার্ডবোর্ডে ছোট ছিদ্র করে তার মাধ্যমে সূর্যের প্রতিবিম্ব অন্য কোনো পর্দার উপর ফেলে গ্রহণ দেখা নিরাপদ।
  • সাধারণ সানগ্লাস বা এক্স-রে ফিল্ম ব্যবহার করবেন না: এগুলো সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আটকাতে পারে না।
সূর্যগ্রহণ কাকে বলে। সূর্যগ্রহণ কত প্রকার ও কি কি।বিস্তারিত তথ্য
সূর্যগ্রহণ কাকে বলে। সূর্যগ্রহণ কত প্রকার ও কি কি।বিস্তারিত তথ্য

সূর্যগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার

প্রাচীনকাল থেকে সূর্যগ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যেমন:

  • অনেকে মনে করেন, গ্রহণের সময় খাবার খেলে বা জল পান করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়, কারণ বিশ্বাস করা হয় এতে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
  • রাহু নামক অসুর সূর্যকে গিলে ফেলার কারণেই গ্রহণ হয় বলে পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত আছে।

তবে, বৈজ্ঞানিকভাবে এইগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। সূর্যগ্রহণ একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং মহাজাগতিক ঘটনা।

সূর্যগ্রহণের বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব

সূর্যগ্রহণ বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার সুযোগ পান।

  • সূর্যের করোনা গবেষণা: পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময় সূর্যের করোনা বা বাইরের বায়ুমণ্ডল স্পষ্টভাবে দেখা যায়, যা সাধারণ অবস্থায় সূর্যের উজ্জ্বল আলোর কারণে দেখা সম্ভব হয় না।
  • আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের প্রমাণ: ১৯১৯ সালের একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সাহায্য করেছিল।
  • সৌরজগতের গঠন বোঝা: গ্রহণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাজাগতিক বস্তুগুলোর গতিপথ এবং অবস্থান সম্পর্কে আরও精确 তথ্য পাওয়া যায়।

ভবিষ্যতে সূর্যগ্রহণ কবে হবে?

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনেক বছর আগে থেকেই সূর্যগ্রহণের পূর্বাভাস দিতে পারেন। বাংলাদেশে পরবর্তী আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরবর্তী পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বাংলাদেশ থেকে দেখতে হলে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের জন্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট অনুসরণ করা যেতে পারে।

লেখকের শেষ কথা

আশা করি, সূর্যগ্রহণ কাকে বলে ও কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। সূর্যগ্রহণ শুধুমাত্র একটি মহাজাগতিক ঘটনাই নয়, এটি প্রকৃতি এবং বিজ্ঞানের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। সঠিক জ্ঞান এবং সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে এই অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে, এর পেছনের বিজ্ঞানকে জানার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সতর্কতা

এই আর্টিকেলটি তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং নিরাপদ পদ্ধতি অবলম্বন করুন। খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকুন।

আরও পড়ুন:চন্দ্রগ্রহণ কাকে বলে

FAQ (সাধারণ জিজ্ঞাসা)

প্রশ্ন ১: সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর: সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে আসে, ফলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাধা পায়। অন্যদিকে, চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের মাঝে আসে, ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে।

প্রশ্ন ২: প্রতি অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না কেন? উত্তর: চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে প্রায় ৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। একারণে, চাঁদ বেশিরভাগ সময়ই পৃথিবীর ছায়ার সামান্য উপরে বা নিচ দিয়ে অতিক্রম করে। শুধুমাত্র যখন তিনটি মহাজাগতিক বস্তু একই সরলরেখায় এবং একই সমতলে আসে, তখনই গ্রহণ সম্ভব হয়।

প্রশ্ন ৩: ‘রিং অফ ফায়ার’ কোন গ্রহণে দেখা যায়? উত্তর: ‘রিং অফ ফায়ার’ বা আগুনের বলয় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় দেখা যায়, যখন চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে পারে না এবং এর চারপাশে একটি উজ্জ্বল বলয় তৈরি হয়।

প্রশ্ন ৪: সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় কোনটি? উত্তর: সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য বিশেষভাবে তৈরি সোলার এক্লিপ্স গ্লাস বা সোলার ফিল্টার ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। এছাড়া পিনহোল প্রজেক্টরের মাধ্যমেও নিরাপদে এর প্রতিবিম্ব দেখা যায়।

1 thought on “সূর্যগ্রহণ কাকে বলে। চন্দ্রগ্রহণ কত প্রকার ও কি কি।বিস্তারিত তথ্য”

Leave a Comment